ফড়িং বনাম প্রজাপতি

ফড়িং বনাম প্রজাপতি

বুক টু (দ্বিতীয় বই)

লেখক

চার্লি ব্রিন্ডলে

charleybrindley@yahoo.com

www.charleybrindley.com

সম্পাদনা করেছেন

কারেন বোস্টন

Website https://bit.ly/2rJDq3f

ফ্রন্ট কাভার আর্ট

চার্লি ব্রিন্ডলে

পেছনের কাভার আর্ট

নিকি ভুকাদিনোভা

© ২০১৯ চার্লি ব্রিন্ডলে, সকল অধিকার সংরক্ষিত

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রিত

প্রথম প্রকাশ ২৯ মে, ২০১৯

বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে

সেথ আলভা ওয়াকার

চার্লে ব্রিন্ডলের কিছু বই

নিন্মোক্ত ভাষায় অনুবাদ হয়েছে:

ইতালিয়

স্প্যানিশ

পর্তুগিজ

ফরাসী

ডাচ

তুর্কি

চাইনিজ

এবং

রাশিয়ান

নিন্মোক্ত বইগুলো অডিও ফরমেটে পাওয়া যায়:

রাজি, বুক ওয়ান (ইংরেজিতে)

ডু নট রেসুসসিয়েট(ইংরেজিতে)

দ্যা লাস্ট মিশন অফ দ্যা সেভেন্থ ক্যাভারলি (ইংরেজিতে)

হ্যানিবলস এলিফ্যান্ট গার্ল, বুক ওয়ান (রাশিয়ান)

হেনরি নবম (ইতালিয়ান))

চার্লি ব্রিন্ডলের অন্যান্য বই

১. অক্সানাস পিট

২. দ্যালাস্ট মিশন অফ দ্যা সেভেন্থ ক্যাভারলি

৩. রাজি বুক ও য়ানঃ অক্টাভিয়া পম্পেই

৪. রাজি বুক টুঃ দ্যা একাডেমি

৫. রাজি বুক থ্রিঃ ডায়ার কায়া

৬. রাজি বুক ফোরঃ দ্যা হাউজ অফ দ্যা ওয়েস্ট এন্ড

৭ . হান্নিবালস এলিফেন্ট গার্ল

৮ . সিয়ান

৯ . অ্যারিয়ন টুয়েন্টি থ্রি

১০ . দ্যা লাস্ট সিট অন দ্যা হিন্ডারবার্গ

১১ . ফড়িং বনাম প্রজাপতিঃ বুক ওয়ান

১২ . দ্যা সি অফ ট্রানকুয়েলিটি ২.০ বুক ওয়ানঃ এক্সপ্লুরেশন

১৩ . দ্যা সি অব ট্রানকুয়েলিটি ২.০ বুক টুঃ ইনভেশন

১৪ . দ্যা সি অব ট্রানকুয়েলিটি ২.০ বুক থ্রি

১৫ . দ্যা সি অব ট্রানকুয়েলিটি ২.০ বুক ফোর

১৬ . সি অফ সরোজ, বুক টু অগ দ্যা রড অফ গড

১৭ . ডু নট রেসাসসিয়েট

১৮ . হানিবলস এলিফ্যান্ট গার্ল, বুক থ্রি

১৯. দ্যা রড অফ গড, বুক ওয়ান

২০ . হেনরি নাইন

২১ . কিউবিটস ইনকিউবেটর

২২ . ক্যাসপারস গেম

শীঘ্রই আসছে

২৩ . ফড়িং বনাম প্রজাপতিঃ বুক থ্রি

২৪. দ্যা জার্নি টু ভ্যালদাসিয়া

২৫ . স্টিল ওয়াটার রান ডিপ

২৬ . মিস ম্যাসিয়াভেলি

২৭ . অ্যারিয়ন টুয়েন্টি নাইন

২৮ . দ্যা লাস্ট মিশন অফ দ্যা সেভেন্থ ক্যাভালরি বুক টু

২৯ . হ্যানিবলস এলিফ্যান্ট গার্ল, বুক থ্রি

বিস্তারিত জানার জন্য বইয়ের শেষে দেখুন

বিষয়বস্তু

অধ্যায় এক

দ্বিতীয় অধ্যায়

তৃতীয় অধ্যায়

অধ্যায় চার

অধ্যায় পাঁচ

অধ্যায় ছয়

অধ্যায় সাত

অধ্যায় আট

অধ্যায় নয়

অধ্যায় দশ

অধ্যায় এক

সিআইএ একমাত্র দল নয় যার বিশেষ অস্ত্রসজ্জিত পতঙ্গ রয়েছে. মনে হচ্ছে ক্রেমলিনও নিজেদের জন্য একটি তৈরি করেছে।

নিউ ইয়র্ক সিটি, আজ।

রিগার এনটাইম অ্যাপার্টমেন্ট 7C এর দরজায় টোকা দিলো। অপেক্ষা করার সময়, সে হলের দিকে তাকিয়ে দেখলো লিফট থেকে একটা দম্পতি বেরিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেল। বাঁকা হলওয়েটা মনোরম ছবিতে সজ্জিত আর পাশের টেবিলগুলোতে তাজা ফুলসহ টব দেখা গেল।

"অনেকক্ষণ লাগলো তোমার।" ক্যাটরিনা হেসে দরজা খুললো।

"আমি আরও আগেই চলে আসতাম, কিন্তু–"

"চুপ করো।"

সে হাত দিয়ে রিগারের গলা জড়িয়ে ধরলো আর ঠোঁটে চুমো দিলো। রিগার দরজা লাগিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলে, হাতে থাকা কাগজের ব্যাগটা তার নিতম্বে লাগলো।

"মুম...মনে হচ্ছে তুমি সাথে করে কঠিন কিছু এনেছ।"

"হ্যাঁ" রিগান আবারও তাকে চুমো দিলো। "কঠিন পানীয়।"

"ঐটাও?"

পর মুহুর্তে, ক্যাটরিনা পেছনে ঝুঁকল। "ক্ষুধা পেয়েছে?"

রিগার মাথা নাড়ালো আর আবারও চুমো দিলো।

ক্যাটরিনা পেছনে ঘুরে রিগারের হাত থেকে ব্যাগটা নিলো। "আমি দেখতে চাই আমার জন্য কি এনেছ।" সে ব্যাগটি খুলে ভেতরে দেখলো। "আমি ওয়াইন কুলার পছন্দ করি।"

"রেচেল কোথায়?"

"এতিমখানায়'" ক্যাটরিনা তার হাত ধরে রান্নাঘরের দিকে নিয়ে গেল।

"সে এখানে থাকলে ভালো লাগতো।"

"আমারও ভালো লাগতো। সে থাকলে অনেক ভালো লাগে।" ক্যাটরিনা রান্নাঘরের টেবিলে বোতলগুলো রাখলো। "ওখানে বসো।" চেয়ারের দিকে দেখিয়ে, সে ওভেন থেকে কিছু বের করতে গেলো। "আমি আমাদের জন্য পিৎজা বানিয়েছি।"

"ওয়াও, দারুণ ঘ্রাণ বের হয়েছে। আমার তো ক্ষুধা পেয়ে গেছে।"

সে স্টোভের উপরে পিৎজা রাখলো এবং ছুরি দিয়ে কাটলো। বড় চারটা টুকরা প্লেটে নিয়ে, সেটি টেবিলে রাখলো আর চেয়ার নিয়ে সামনাসামনি বসলো।

"তো কোথা থেকে আমরা শুরু করবো?" ক্যাটরিনা জিজ্ঞাসা করলো।

রিগার এক টুকরা পিৎজা নিয়ে সাথে সাথেই রেখে দিলো। "আমি আঙুল দিয়েই শুরু করি, কিন্তু এটা বেশ গরম।"

"তুমি ভালোই জানো আমি কিসের ব্যপারে কথা বলছি।" সে উঠে গিয়ে ড্রয়ার থেকে দুটি কাটাচামচ নিয়ে আসলো। মুখোমুখি চেয়ারে না বসে, সে গিয়ে তার পাশে বসলো।

দুজনেই কাটাচামচ দিয়ে একটু পিজা কেটে নিলো।

"কেন তারা তোমাকে বরখাস্ত করলো?" রিগার জিজ্ঞাসা করলো।

"নতুন হিসেবে শত্রুর সাথে রাত কাটানো।"

"আর?"

"শিশুদের ঝুঁকিতে ফেলা।"

"এটা সত্য হবে যদি তুমি ভেবে থাকো আমি একজন খুনী।"

"হ্যাঁ, তুমি জানো না তুমি বুলেটের কত কাছে ছিলে।"

রিগার খাওয়া থামিয়ে তার দিকে তাকালো।

"মনে আছে প্রথমদিন যখন তুমি আমাদের হট চকলেট কিনে দিয়েছিলে?"

সে মাথা নাড়লো।

"তুমি কি তখন আমার ডান হাত দেখেছিলে? না, তুমি দেখোনি, কারণ হাতটা আমার কোট পকেটে সার্ভিস রিভলবার একদম সাথে ছিল যেটি আজকেও তাক করা ছিল।"

"তুমি আমার উপর বন্দুক তাক করে ছিলে?"

"আসলে তোমার উপর নয়, তবে তুমি আমাদের উপর আক্রমন করলে মুহূর্তেই সেটি আমার হাতে চলে আসতো। রান্নাঘর পরিষ্কার সময়েও একইভাবে প্রস্তুত ছিলাম। তুমি র‍্যাচেলের সঙ্গে যতক্ষণ খেলছিলে, পুরোটা সময় আমার নজর তোমার উপরে ছিল।"

"আচ্ছা...", রিগার আবার খাওয়া শুরু করলো। "আমি ভেবেছিলাম তুমি গৃহ পরিচ্ছন্নতাকর্মী।"

"আমি তোমাকে গ্রেফতার করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কোন প্রমাণ ছিল না, আমি আদালতে কিছুই প্রমাণ করতে পারতাম না।"

"কখন থেকে আমাকে নিরাপদ ভাবতে শুরু করলে?"

"দ্বিতীয়বার যখন রেচেল আর আমি তোমার অ্যাপার্টম্যান্টে গিয়েছিলাম তখন। তখন বুঝতে শুরু করলাম তুমি ভালো মানুষ।" ক্যাটরিনা দুটি ওয়াইন কুলারের ক্যাপ খুললো আর একটি রিগারের সামনে রাখলো।

রিগার একটা পানীয় নিলো। "আমি ধারণা করছি তুমি তোমার প্রধানকে জানিয়েছ যে আমি আর সন্দেহভাজন কেউ ছিলাম না।"

"জানিয়েছিলাম, কিন্তু ক্যাপ্টেন বিলিংস্লে তা মানেননি। বললেন আমি তোমার প্রতি নরম হয়ে জড়িয়ে যাচ্ছি আর আমার নাকি কিছুদিন এসব থেকে দূরে থাকা উচিৎ, হয়তো অন্য কোন লেখালেখির কাজ বা পার্কিং টিকেট লেখার কাজ করা উচিৎ।"

"কিন্তু তুমি এসব থেকে দূরে থাকোনি।"

"আমি কিভাবে দূরে থাকতে পারতাম?"

"সে ই তোমাকে বহিষ্কার করেছে?"

"হ্যাঁ। আসলে বহিস্কার নয়, সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন যতক্ষণ না অভ্যন্তরীন বিভাগ তাদের তদন্ত শেষ না করে। আমি মনে করি এটা তিন নাম্বার কারণ যেটি তাকে বেশি আসলেই রাগিয়ে দিয়েছে।"

"বাকি দুটো কি?"

"অবাধ্য আচরণ আর ডিপার্টমেন্টের কর্ম-প্রক্রিয়া অনুসরণ না করা।"

"এই দুইটা কারণ।"

"আর অবাধ্য আচরণের ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে।"

"মনে হচ্ছে তুমি তাকে আসলেই রাগিয়ে দিয়েছ, কিন্তু আমি ভাবতে পারছি না তুমি এমন অবাধ্য হতে পারো।" রিগার রান্নঘরের চারদিকে দেখলো, তারপর সিঙ্কের পাশ থেকে দুটি টিস্যু নিলো। একটি ক্যাটরিনা দিলো আর একটি দিয়ে নিজের মুখ মুছলো।

"ওহ, আমি আগেও অবাধ্য হয়েছি, আর তোমার সাথে দেখা না করার আদেশ মানিনি।"

এটা বলে সে তার দিকে তাকালো। "অবাধ্য হয়ে লাভ হয়েছে তাহলে?"

ক্যটরিনা এক মুহূর্ত তার পিজাটাকে দেখলো। "এখনও হয়নি।" বলে এক কামড় মুখে নিলো।

"তুমি খুবই কিউট। আমরা কি ড্রিঙ্ক করে মাতাল হবো নাকি অন্য কিছু?

"অন্য কিছু।"

রিগার তার বোতল রেখে দিলো আর তাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরলো। তারপর তার ঠোঁটে, গালে, চুমো দিলো। যখন সে তার কয়েকটা চুমো দিলো, ক্যটরিনা ওয়াইন কুলার ফেলে দিলো। বোতলটি টেবিলে পড়লো আর সেটি থেকে পানীয় ছড়িয়ে পড়লো। তাদের কেউই সেটা খেয়াল করলো না।

রিগার পিৎজা সরিয়ে তাকে তার সামনে টেবিলের উপর বসালো। যখন রিগান তাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরলো, ক্যটরিনা তার গলায় জড়িয়ে ধরে তার মাথার উপরে থুতনি রাখলো।

"রিগার," সে ফিসফিসিয়ে বললো।

"হুম?"

"আমার পেছনে ভেজা লাগছে কেন?"

রিগান তার পেছনে হাত দিলো, তারপর টেবিলে হাত দিয়ে দেখলো। "ওয়াই কুলার," জায়গা থেকে না সরে সে বলল।

"ওহ। ভালো"

"ভেজা জিন্স পাল্টানো দরকার মনে হচ্ছে না?"

"এখানে না।"

"কোথায়?"

"বেডরুমে।"

"তোমার বেডরুম আছে নাকি?"

ক্যাটরিনা টেবিল থেকে তার কোলে গিয়ে বসলো।

যখন ক্যাটনিরা চুমো দিলো, রিগানের মনে হলো সে তার ঠোটে জিহ্বা ঘষছে। সেও ঠোট বাড়িয়ে দিলো আর জিহ্বা ঘষলো ।

'ক্যাট।" সে ফিসফিসিয়ে বললো।

"হুম?"

"এখন আমার প্যান্ট ভিজে গেছে।"

সে মাথা সরিয়ে হাসতে লাগলো। "তুমি কি অন্য কোন ড্রেস এনেছ?"

রিগান মাথা নাড়লো।

দরজাটি দেখেছ? সে জিজ্ঞাসা করলো।

"না।"

"চোখ খুলে দেখো।"

"ওহ, তুমি বলছো ঐ দরজাটা যেটি নিয়ন আলোতে লেখা, 'বেডরুম, বেডরুম, বেডরুম।"

"হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ।"

রিগান তাকে রুমে নিয়ে গেল, তারপর বিছানায় বসে দেখছে ক্যাটরিনা কি করছে।

ক্যাটরিনা তার জিন্স পাল্টালো না। বরং, রিগানের উপর চোখ রেখে তার ব্লাউজ খুলতে লাগলো। যখন সে শেষ বোতাম খুলতে যাবে, তখন বললো, "তুমি কি থেলমা আর লুইসকে দেখতে চাও?”

রিগারের চোখ বড় হয়ে গেল। সে তার দৃষ্টি না সরিয়ে মাথা নাড়লো।

ক্যাটরিনা ব্লাউজ খুলে পাশে ফেলে দিলো আর ব্রা খুলতে গেল।

"আমি কখনওই..." রিগান বলতে গিয়ে ঢুক গিলল। সে আবার বলতে চেষ্টা করলো। "শুনিনি কেউ তার স্তনগুলোর নাম রাখে।"

"আরে বোকা, তাদের নাম থেলেমা আর লুইস না। এদের নাম।" তার ব্রা মেঝেতে পড়ে গেল আর সে হাত দিয়ে স্তন ঢেকে রাখলো এবং পেছনে লাগানো চামড়ার হোলস্টার থেকে দুটি ছোট পিস্তল পড়লো।

"ওয়াও!"

রিগানের উপর চোখ রেখেই সে ট্রিগারে আঙুল ঢুকিয়ে একটি পিস্তল হাতে নিলো। "ক্যাপ্টেন বিলিংস্লে এই বাচ্চা দুটির ব্যাপারে জানতো না.” সে তার ডান হাতে পিস্তলটি বাতাসে ছুড়ে মারলো আর পেছনে হাত দিয়ে ধরে ফেললো। "আর থেলেমা কোথায়?"

রিগার তার বাম হাতের দিকে ইশারা করলো, যেটি ক্যাটরিনা উপরে তুলে দেখলো। "সেটি হাতে নেই।"

"আর লুইস কোথায়?"

এখন তার ডান হাতটিও খালি। সে তার দুই হাত উপরে তুলে তাদের দেখে খুঁজতে লাগলো।

রিগারের হাসি থামাতে কষ্ট হচ্ছিল। সে তার কোমর দোলানি দেখতে লাগলো।

সে তার সামনে নাচলো, তারপর আস্তে আস্তে তার দিকে ঘুরে মুখোমুখি হলো। ক্যাটরিনা সামনে ঝুকলো।

"থেলেমা আর লুইস" রিগান বলে উঠলো যখন সে দেখলো যে তার দুই পকেটে পিস্তল অর্ধেক উঁকি মেরে আছে।

"মন চাইলে তুমি ওদেরকে ধরে দেখতে পারো।"

রিগার পিস্তল দুটি ধরতে গেল কিন্তু ক্যাটরিনা তার হাত দুটো ধরে ফেলল।

তারা দুইজনে মুখোমুখি হলো।

"আমরা বরং ভেজা কাপড়্গুলো পাল্টে ফেলি,"

"ঠিক আছে, আমি সাহায্য করছি।"

* * * * *

পরদিন সকালে, রিগার আর ক্যাটরিনা রিগারের অ্যাপার্টমেন্টের বাহিরে হলওয়েতে দাঁড়িয়ে আছে রিগার তাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরলো এবং চুমো দিলো। ক্যাটরিনা হেলান দিয়ে রিগারের কোমর জড়িয়ে ধরলো।

"ক্ষুধা পেয়েছে?" রিগার কানে কানে বললো।

"উহ-হু।" পরস্পরের দিকে তাকালো। "তুমি কি ডোনাটের ঘ্রাণ পাচ্ছো?"

রিগার বাতাসে ঘ্রাণ নিলো। "না, তুমি পাচ্ছো?"

রিগার চাবি বের করতে পকেটে হাত দিলো কিন্তু ক্যাটরিনা দরজার হাতল ঘুরাতেই সেটি এমনিই খুলে গেল।

তারা ভিতরে ঢুকে দেখলো পাগ আর অটাম খাটের উপরে খুব কাছাকাছি বসে আছে। কফি টেবিলের উপরে এক বক্স ক্রিসপি ক্রিম ডোনাট রয়েছে।

"রিগ!" পাগ লাফিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। "আমরা তোমাকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম।"

"হ্যাঁ, আমি সেটা দেখতেই পাচ্ছি।

"তোমরা কোথায় ছিলে?" অটাম জিজ্ঞাসা করলো।

"উম..." ক্যাটরিনা বললো, "আশেপাশেই।" সে রিগারের দিকে তাকালো এবং বাঁকা হাসি দিলো।

" 'আশেপাশেই' মানে আমি যা ভাবছি তাই নাকি?" অটাম হেসে বলল।

"কিছু মনে করো না," রিগার বলল। "আশা করি তোমরা দুজন আমার অ্যাপার্টমেন্টটি উপভোগ করেছ।"

এই বলে সে ক্রিম ভর্তি একটি ডোনাট ক্যাটরিনাকে দিলো আর নিজেও একটা নিলো। তারা দুজন তখন একসাথে সোফায় বসলো।

"আসলে আমরা দুজন একটু মজা করছিলাম।" সে পাগের দিকে তাকালো।

"এই মজা কি সেই মজা যা আমি ভাবছি?" ক্যাটরিনা টিস্যু দিয়ে মুখ মুছতে গেল।

"হ্যাঁ, তারচেয়েও বেশি মজা।" পাগ হেসে বললো।

অটাম পাগকে কনুই দিয়ে গুতো দিলো আর রিগারের দিকে তাকিয়ে বললো। "রিগ, তুমি কি টুইটার করো।"

রিগার চিবিয়ে গিললো। "আমি টুইটার করি এবং টুইট করি।"

"ভালো।" অটাম টেবিল থেকে তার ফোনটা নিলো। "এইটা চেক করে দেখো।" "সে তার নতুন গ্যালাক্সি ফোনের একটি বাটনে স্পর্শ করলো, তারপর একটি নাম্বার প্রবেশ করালো।"

রিগার টিস্যু দিয়ে হাত মুছে তার হিপ পকেট থেকে ফোনটা বের করলো। সে ডিসপ্লের দিকে তাকালো। "আমাদের কি এখন টুইটার করা উচিৎ?"

পাগ অটামের কাছে ঘেষে বসে তার ফোনের ডিসপ্লে দেখতে লাগলো।

সে পাগের দিকে তাকালো এবং কাঁধ ঝাকালো।

"এখন টু-ডি-টু প্রবেশ করাও।

সে প্রবেশ করালো, তখন দুজনেই হাসলো যেহেতু স্ক্রীনে কিছু একটা এসেছে।

"আমি এখনও কোন টুইটার পাইনি?" রিগার বললো।

অটাম সিড়ির দিকে ইশারা করলো এবং চারজনেই সেদিকে তাকালো।

কিছুক্ষণ পর, একটি ক্ষুদ্র প্রানী সিড়ির উপরে নজরে আসলো যেটি সিলিংয়ের কাছে উড়তে লাগলো।

"ডোনোভান!” রিগার চেঁচিয়ে বললো।

"ডোনোভান?” ক্যাটরিনা জিজ্ঞাসা করলো।

অটাম তার ফোনে আবারও মনোযোগ দিলো এবং ছোট ফড়িংটিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলো। ছোট প্রাণীটি সামনে এসে নিচে উড়ে আসলো। সিঁড়ির নিচে ডোনোভান ঘুরলো এবং একপাশে উড়ে গিয়ে রিগারের একদম নাকের ডগায় গিয়ে থামলো।

"সুন্দর," রিগার বললো। "কিন্তু কিভাবে— ”

হঠাৎ, ডোনোভানের পাখা নড়লো এবং কয়েক ইঞ্চি নিচে নামলো।

পাগ অটামের সামনে গিয়ে তার হাত বাড়িয়ে দিলো। এটাকে বসাও।

অটাম একটি বাটনে ক্লিক করলো, তারপর আরেকটিতে।

ডোনোভান পাগের হাতে চলে গিয়েছে.

অটাম পাওয়ার অফ করলো আর পাখাগুলো থেমে গেল।

ঐ জিনিসটা কি? ক্যাটরিনা জিজ্ঞাসা করলো।

"শ...," অটাম তার কণ্ঠ নিচু করে বললো। "এটা রিগারের টপ সিক্রেট প্রজেক্ট”

"এই ছোট্ট জিনিস?"

রিগার পাগের কাছ থেকে ফড়িংটি নিতে আসলো। "সাত মিলিয়ন ডলারের ছোট্ট জিনিস," সে বলল। "কিন্তু এটা আর সিক্রেট রইলো না ” সে অটামের দিকে তাকালো। "ব্যাটারির মাধ্যমে কতক্ষণ উড়তে পারে?”

"প্রায় দুই ঘন্টা.”

"খারাপ না, কিন্তু কিভাবে এটিকে তোমার ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করো?”

"ডোনোভানের এখন তার নিজস্ব সেল ফোন আছে," পাগ বলল.

"আমরা গত রাতে ফোনটি পেয়েছি," অটাম বলল। "তারপর পাগ ফোনটি হ্যাক করলো এবং সেটিকে উপরতলায় রাখা কন্ট্রোল বক্সে তার দিয়ে যুক্ত করলো। তারপর আমরা আমার গ্যালাক্সি ফোন থেকে একটা অ্যাপ ইনস্টল করলাম যেটির মাধ্যমে অ্যাকসিলরোমিটার এবং জাইরোস্কোপ দিয়ে ডোনোভানের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাহলে এখন আমাদের যা করতে হবে তা হলো ডোনোভানের নাম্বার কল করা আর কিছু টপ সিক্রেট কোড দেয়া।তাহলে আমরা যে ফোন দিয়ে কল দিলাম সেটিতে তার অডিও আর ভিডিও পেয়ে যাবো। সেটাকে যেভাবে চালাতে চাও শুধু সেভাবে ফোনটাকে কাত করে নাড়াচাড়া করতে হবে।

"সত্যি বলছো?” রিগার জিজ্ঞাসা করলো। আমার ফোন থেকে ব্যবহার করতে পারবো?

"ডোনাভানের নাম্বারের লিস্ট এখনও খালিই আছে।”

"দারুণ। সি.আই. এ এর লোকেরা এটার জন্য পাগল হয়ে যাবে।

"আমরা তাদেরকে তার নম্বর দিতে পারি।” অটাম রিগারের দিকে চেয়ে হাসলো "তোমার এড্রেস বুকে এটার নাম্বার নিতে চাও?”

রিগার মাথা নাড়লো, এবং সে রিগারকে তার সে তার এড্রেস বুকে নাম্বারটি যোগ করল।

"তোমাকে অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে হবে," পাগ বললো।

"ঠিক আছে ।”

পাগ তাকে নির্দেশনা দিল.

রিগার ডোনোভানের নাম্বারে কল দিলো। "পাসওয়ার্ড ?" সে চাইলো।

"Clicker," অটাম বললো।

রিগার পাসওয়ার্ডটি লিখলো। "ক্যাট, দেখো একবার। ” সে ফোনটা তার দিকে ঘুরালো যাতে সে স্ক্রীন দেখতে পায়।

"হাঁ, অটাম আর পাগ পাশাপাশি বসে আছে দেখা যাচ্ছে," ক্যাটরিনা বললো। "ক্যামেরাটা কোথায়?”

পাগ ডোনোভানকে রিগার আর ক্যাটরিনার দিকে ঘুরালো। "চোখের জন্য দুটি ক্ষুদ্র ভিডিও ক্যামেরা.”

"এগুলো এত ছোট হয়েও বেশ ভাল কাজ করছে," ক্যাটরিনা বলেন.

"ঠিক বলেছ কিন্তু ভিভিও উপরের কন্ট্রোল বক্সে পাঠাতে ব্যাটারির চার্জ কমে আসে।" অটাম বললো।

"ওয়ান-এইচ-ওয়ান টাইপ করো," পাগ বললো।

রিগার তা প্রবেশ করালো আর ভিডিও বন্ধ হয়ে গেল।

পাগ ডোনোভানকে উল্টে ধরে অটামের সামনে ধরলো।

সে এটার পেট থেকে পুরনো ব্যাটারিগুলো বের করে নতুন ব্যাটারি ঢুকালো। "আমরা সহজে ব্যাটারি পরিবর্তন করার জন্য এটার পেটে আলাদা ব্যাটারি রাখার ব্যবস্থা করেছি.”

"ভালো বুদ্ধি," রিগার বলল।

"ঠিক আছে," অটাম বললো। "এখন এটার নাম্বারে আবার কল দাও।”

পাগ ফড়িংটিকে টেবিলে রাখলো আর রিগার এতাড় নাম্বারে কল দিলো।

কল সংযুক্ত হওয়ার পর, রিগার তার ফোনের স্ক্রিনে ডোনোভানের ভিডিও সিগন্যাল পেল। "এখন কি?”

"এক মিনিট, এটা তার ফোনে কাজ করবে না।" অটাম বললো। "তোমার অন্তত গ্যালাক্সি S-5 মডেল লাগবে, কারণ এটাতে নাড়াচাড়া করার সেন্সরগুলো আছে।”

"ঠিক বলেছ," পাগ বললো। "রিগ, তোমার একটি নতুন ফোন নিতে হবে। তবে এখন অটামেরটা ব্যবহার করো।"

"ঠিক আছে। আমি আজ পরে একটি নতুন ফোন নিবো।”

অটাম তার ফোনটি তার হাতে দিলো।

"টু-ডি-টু প্রবেশ করাও," পাগ বললো। "তারপর ডানে, বামে, সামনে, আর পেছনে নাড়াচাড়া করে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করো।”

শীঘ্রই, ডোনোভানের পাখা ঝাপটানি শুরু করলো, এবং সেটি টেবিল উঠে পড়লো। এটি ছাদের কাছাকাছি বৃত্তাকারে আস্তে আস্তে উড়তে লাগলো।

"এটি আমাদের ব্যবহার করা ঐ দুটি জয়স্টিকের চেয়ে ভালো," রিগ বলল। "এটার রেঞ্জ কতটুকু?”

"আমরা আজ সকালে তাকে রান্নাঘর পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়েছিলাম," অটাম বললো।

"সামনের দরজাটা খোল তো," রিগার বললো।

পাগ দরজা খুললো, এবং রিগার ডোনোভানকে বাইরে হলওয়েতে নিয়ে গেল। ফোনে ভিডিওতে নজর দিয়ে সে ফড়িংটিকে বামদিকে ঘুরালো।

"পাগ, এটিকে অনুসরণ করো," রিগার বলল। "দেখি এটি কতদূর যেতে পারে।”

"ঠিক আছে," পাগ বললো। "আরে, কেউ লিফট থেকে বেরোচ্ছে।”

রিগার ভিডিওতে নজর দিয়ে ডোনোভানকে হলওয়েতে একদম ছাদের কাছাকাছি নিয়ে গেল। "দেখি তারা এটাকে লক্ষ্য করে কিনা," রিগার অটাম এবং ক্যাটরিনাকে বলল।

একজন পুরুষ এবং মহিলা লিফট থেকে বের হয়ে আসলো আর হলওয়েতে এগিয়ে গেল।

রিগার ডোনোভানকে ঘুরালো যেন তাদের উপর নজর রাখা যায়। তারা ছোট্ট পোকাটিকে খেয়ালই করেনি।

তারা একটু গিয়েই একটি অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পড়লো, তখিন রিগার ডোনোভানকে আবার উল্টোদিকে নিয়ে আসলো যেদিকে পাগ যাচ্ছিল। লিফট থেকে কিছু দূরে যাওয়ার পরেই দোনোভানের সিগন্যাল দুর্বল হওঁতে লাগল।

রিগার ছোট্ট এয়ারক্রাফটিকে ঘুরিয়ে অ্যাপার্টমেন্টের দিকে ফিরিয়ে আনা শুরু করলো।

অটাম দরজার দিকে গেল। "কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসলো?"সে পাগকে জিজ্ঞাসা করলো।

"লিফট থেকে প্রায় দশ মিটার" পাগ বলল।

"আর এখান থেকে লিফট ধরো ২০ মিটার," অটাম বলল। "প্লাস আরও ২৫ মিটার, উপরের রুমে কন্ট্রোল বক্স পর্যন্ত। তার রেঞ্জ তাহলে ৫০ মিটারের মতো। এত ছোট্ট জিনিসের জন্য খারাপ না।

পাগ ডোনোভানের পেছনে পেছনে ভেতরে ফিরে আসলো। "আমরা যদি উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সিতে পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে মনে হয় আমরা রেঞ্জ বাড়াতে পারবো.”

রিগার ডোনোভানকে ক্যাটরিনার হাতে নামালো। "কি কিউট ছোট্ট জিনিস," সে বলল। "কিন্তু সিআইএ এটা কি করবে?”

"এটিকে একটি বড় ড্রোন দ্বারা একটি নির্দিষ্ট এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে, তারপর একটি ক্ষেপণাস্ত্র সাইট বা সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবির কাছাকাছি উড়ার জন্য ছেড়ে দেয়া হবে।" রিগার বলল। থিওরিটা হলো কেউ এই ছোট্ট ফড়িং উড়ার দিকে মনোযোগ দিবে না। তার ভিডিও আর অডিও সিগন্যাল উপরে থাকা মূল ড্রোনে যাবে আর সেখান থেকে হেডকোয়ার্টারে যাবে।

"তার গোপন মিশন চালানোর সময় যদি ব্যাটারি শেষ হয়ে যায় তাহলে কি হবে?”

"তার ভেতরে একটি উত্তোলক ডিভাইস আছে যেটি ব্যাটারি শেষ হয়ে গেল স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে।" রিগার বলল। "কিন্তু ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই যদি মূল ড্রোনে যুক্ত হয়ে যায় তাহলে উত্তোলকটি অকেজো হয়ে যায়।"

"খুব খারাপ হলো যে তার একটি ক্ষুদ্র মেশিনগান নেই," পাগ বলল।

"উম…”

"আবার বলো না তার বন্দুকও আছে।” ক্যাটরিনা ফড়িংটির পেটের দিকে তাকালো।

"না" রিগার বলল। "কিন্তু আমি একটি অস্ত্রের ব্যাপারে কাজ করছি।” সে অটামের দিকে তাকালো।

সে হাসলো। "এটাতে কি মাংশাশী মাছ বা ব্যাঙের বিষাক্ত লালা লাগাবে?"

"ব্যাঙের লালা।"

* * * * *

"তোমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারি, মামনি?” ক্যাটরিনা রিগারেরে বসার ঘরে বসে রেচেলকে জিজ্ঞাসা করলো যখন রিগার, অটাম এবং পাগ উপরের তলায় ফড়িংটি নিয়ে কাজ করছিল।

"আহ-হাহ, " রেচেল তার পুতুল হেনরির সাথে খেলতে খেলতে উত্তর দিলো।

"তুমি যদি কিছু বলতে না চাও তাহলে বলতে হবে না, মামনি। কিন্তু তুমি জানো আমি একজন পুলিশ এবং আমি সত্যিই খুঁজে বের করতে চাই কারা তোমার বাবা মার সাথে ঐ খারাপ কাজটি করেছে।"

রেচেল খেলা থামিয়ে মেঝের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়লো।

"ঠিক আছে। তোমাকে এটা নিয়ে কথা বলতে হবে না। এদিকে এসে আমাকে একটু জড়িয়ে ধরো তো।"

রেচেল তার পুতুল রেখে ক্যাটরিনার কোলে আসলো। সে মেয়েটির মাথায় তার গাল লাগিয়ে জড়িয়ে ধরে রাখলো।

"আমি তোমাকে ভালোবাসি, রেচেল.”

"আমিও তোমাকে ভালোবাসি, মিস ক্যাট.”

তারা কিছুক্ষণ নীরর থাকলো, তারপর রেচেল বললো,," আমি এখনও খারাপ স্বপ্ন দেখি।”

"আমি জানি, সোনামনি.”

"এতিমখানায় আমি মাঝে মাঝে রাতে আমি চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ঘুম থেকে উঠে পড়ি এবং সিস্টার আমাকে তার সাথে ঘুমাতে দেয়.”

"তুমি সিস্টার সুজানকে পছন্দ করো?”

রেচেল মাথা নাড়লো।

"আমিও তাকে পছন্দ করি। সে খুব ভালো।”

"তারা কেন আমার মা ও বাবার সাথে এমন করলো?”

"আমি জানি না, কিন্তু তাদের ধরতে পারলে, প্রথমেই আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবো যে কেন তারা আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধুর বাবা মার সাথে এমন করলো।”

"তারপর তুমি তাদের সাথে কি করবে?” রেচেল ক্যাটরিনার দিকে তাকালো।

ক্যাটরিনা একটু ভাবলো। একটি মুহূর্ত পরে, সে বললো,, "আমি তাদেরকে অনেক অনেক লম্বা সময়ের জন্য জেলে পাঠাবো। তাদেরকে ইঁদুর এবং মাকড়সার সঙ্গে একটি গর্তে আটকে রাখবো।”

রেচেল হাসলো এবং তার মাথা বুকে জড় "লোকটির চেহারা কুৎসিত ছিল.”

ক্যাটরিনা অপেক্ষা করলো মেয়েটিকে ধীরে ধীরে বলার সুযোগ দিয়ে।

"সে মজা করে নাচতেছিল আর মহিলাটির মতো করছিল, কিন্তু তার হাতে মহিলাটির মতো ছুরি ছিল না। আর একটু পরে পরে সে এমন করছিল। রেচেল ক্যাটরিনার কোল থেকে নেমে তার কনুই দিয়ে একটা অভিনয় করে দেখালো।

"কি?” ক্যাটরিনা তার মাথা হেলিয়ে জিজ্ঞাসা করলো। "সে কি করছিল?”

"এরকম।” রেচেল তার কনুই কনুই দিয়ে কোমর পেচিয়ে ধরলো এবং টানলো।

"একটি মিনিট দাঁড়াও।” ক্যাটরিনা দাঁড়িয়ে একই রকম করলো। সে দেখলো তার কনুই কোমরের ওখানে জিন্সের বেল্টের ওখানে আর সে তার জিন্স উপরে টানছে। "মানে সে তার কনুই দিয়ে বার বার প্যান্ট উপরে তুলছিল?”

"হ্যাঁ, এইভাবে।” রেচেল আবারও করে দেখালো। "আর সে পুরো সময় জুড়ে এমন করছিল। নাচতেছিল আর প্যান্ট টেনে উপরে তুলছিল।"

"অদ্ভুত.”

"আমি আর এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না.”

"আমিও না," ক্যাটরিনা বললো। "চলো সবার জন্য ডিনার নিয়ে আসি।" সবাই নিশ্চয়ই ক্ষুধার্ত।

"ঠিক আছে ।” রেচেল রান্নাঘরের দিকে দৌড়ে গেল।

* * * * *

বুধবার রাতে, কাটরিনা রেচেলকে ঘম পাড়িয়ে দেয়ার পর , পাগ,অটাম এবং রিগার ডাইনিং রুমে বসে ছিল।

ক্যাটরিনা পাগকে জিজ্ঞাসা করলো সে সেন্ট্রাল পার্কে করে ভিডিওটা চালাতে পারবে কিনা।

"নিশ্চয়ই। সেট আপ করার জন্য মাত্র এক মিনিট লাগবে।”

"পাগ ভিডিও করে?” অটাম জিজ্ঞাসা করলো।

"একটি লোক রিগারের পিছু নিয়েছিল, এবং পাগ সেন্ট্রাল পার্কে কুকুর নিয়ে হাঁটার জন্য গিয়ে তার ফোন ক্যামেরায় সেটা ধারণ করে.”

"কেন কেউ তোমাকে অনুসরণ করছে, রিগার?” অটাম জিজ্ঞাসা করলো।

"আমি কোন ধারণা নেই। প্রথমে পাগ আমি ভেবেছিলাম লোকটি ক্যাটরিনার পরিচিত। রিগার ক্যাটরিনার হাত ধরলো। "কিন্তু তারপর আমরা জানতে পারলাম সে তাকে চিনে না।”

"কেন তোমাদের এমন মনে হলো?” অটাম জিজ্ঞাসা করলো।

"তারা আমাকে এমন কেউ ভেবেছিল যেটা আসলে আমি ছিলাম না," ক্যাটরিনা বললো।

“তুমি এমন কেউ ছিলে যে আসলে তুমি না?” রিগার হেসে বলল।

"না, আমি সবসময় আমিই আছি। কিন্তু আমি তোমার ব্যাপারে নিশ্চিত নই।”

"ঠিক আছে, তোমরা দু' জন. এখন আমি পুরোপুরি কনফিউজড," অটাম বললো।

"ভিডিও টেপ দেখানোর জন্য প্রস্তুত," পাগ বললো।

তারা চারজন রিগার এবং কুকুরটিতে অনুসরণ করা লোকটির ভিডিও দেখতে লাগলো।

"মাই গড।" অটাম বললো। " এ লোকটি তো অনেক কুৎসিত।"

"আমিও তাই বলছিলাম," ক্যাটরিনা বললো।

তারা কিছুক্ষণ দেখলো, তারপর ক্যাটরিনা বললো,"এটা সে লোকটি।"

"কে?” পাগ জিজ্ঞাসা করলো।

"যে লোকটি রেচেলের বাবা মাকে হত্যা করতে সাহায্য করেছিল।"

"তুমি কিভাবে জানো?” রিগার জিজ্ঞাসা করলো।

"খেয়াল করেছো, সে কিভাবে কনুই দিয়ে ওর প্যান্ট টানছিল?” ক্যাটরিনা জিজ্ঞাসা করলো।

"সে যেটা করছে সে রকম?” অটাম জিজ্ঞাসা করলো।

"হ্যাঁ এটা একটা অভ্যাস বলতে পারো, " ক্যাটরিনা বললো।

"অদ্ভুত," পাগ বললো। "কিন্তু এতে করে কি সে হত্যাকারী প্রমাণিত হয়?”

রেচেল আমাকে বলেছিল যে লোকটি ঠিক এই রকমই করছিল যখন মেয়েটি তার বাবা মাকে কাটছিল। সে বলেছে যে লোকটি নাচতেছিল এবং কনুই দিয়ে তার প্যান্ট টানছিল। সে এমনকি আমাকে ব্যাপারটা করেও দেখিয়েছে। ক্যাটরিনা কম্পিউটার স্ক্রীনের দিকে দিকে ইশারা করলো। "ঠিক যেভাবে লোকটি করছে। যদি আমরা তাকে খুঁজে পাই, আমরা সেই খুনী মেয়েটাকেও পাবো।"

"তাহলে একারণেই ঐদিন ভিডিওতে লোকটিকে দেখে রেচেল চিৎকার দিয়ে উঠেছিল," রিগার বললো। "সে লোকটিকে চিনতে পেরেছিল।"

"কিন্তু সে কেন রিগারকে অনুসরণ করছিলো?" অটাম জিজ্ঞাসা করলো।

"আমার কোন ধারণা নেই।”

* * * * *

ডিনারের সময় রেচেল অটামের পাশে বসলো।

"তোমার বড় প্লেন কোথায়?” রেচেল জিজ্ঞাসা করলো।

"এয়ারপোর্টে”

"আজকে কি তুমি আকাশে উড়েছিলে?"

"নাহ! ল্যান্ডিং গিয়ারের কাজ চলছে, তাই আরও দুই একদি উড়া যাবে না।" অটাম তার ফোনটা বের করে তাদের দুই প্লেটের মাঝখানে রাখলো। "তুমি একটা জিনিস দেখতে চাও?”

রেচেল মাথা নাড়লো।

অটাম ডোনোভানের নাম্বারে কল দিলো। "স্ক্রীনটাতে দেখো।”

রেচেল অটামের দিকে ঝুকে স্ক্রীনের দিকে তাকালো।

অটাম ফড়িংটিকে চালু করারা জন্য কোড ঢুকালো এবং স্ক্রীনে লাইভ ভিডিও চালু হলো।

ঐটা কি? রেচেল কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো।

"এক সেকেন্ড থামো।” অটাম ফোনটি ঘুরালো উপরের তলার টেবিল থেকে ডোনোভানকে তোলার জন্য। স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে সে সেটাকে দরজার দিকে নিয়ে আসলো। "হুম...কেউ... দরজা বন্ধ করে দিয়েছে.” সে পাগের দিকে তাকিয়ে বললো।

"উহ-ওহ.” পাগ চেয়ারটা সরিয়ে তাড়াতাড়ি সিড়ি দিয়ে গেল। একটু পরেই, রেচেল এবং অটাম দেখলো দরজা খুলে গেল এবং পাগকে স্ক্রীনে দেখা গেল।

"আরে," রেচেল বললো। "তোমার ফোনে পাগকে দেখা যাচ্ছে।”

"হাঁ, সে আমাদের প্রিয় পাগ।” অটাম ডোনোভানকে পাগের পেছনে বারান্দায় আনলো।

"আর এটা উপরতলার বারান্দা," রেচেল বললো।

রিগার ক্যাটরিনার দিকে তাকালো এবং চোখে ইশারা দিলো।

"এখন কি দেখতে পাচ্ছ?” অটাম জিজ্ঞাসা করলো।

"সিঁড়ি উপরভাগ।” রেচেল চেয়ার থেকে উঠে, সিঁড়ির দিকে দৌড়ে গেল। অন্যরাও গেল আর অটাম ফোনে কন্ট্রোল করতে লাগলো।

সিঁড়ির একদম নিচে, রেচেল একটি অদ্ভূত প্রাণীকে উড়তে দেখলো। "এটি কি একটি পোকা?”

"উহ-হ্যাঁ" অটাম বললো। "কিন্তু সে একটি স্মার্ট ছোট্ট পোকা। তার দিকে হাত নাড়ো।

রেচেল হাত নাড়লো, আর অটাম ফোনের মাধ্যমে ফড়িংটিকে এদিক ওদিক নাড়ালো।

রেচেল সেটিকে নিচে আসতে ইশারা করলো এবং ডোনোভান নিচে আসতে লাগলো।

"তোমার হাত বাড়িয়ে দাও," পাগ সিঁড়ির উপর থেকে বললো।

রেচেল তার দু'হাত বাড়িয়ে দিলো এবং ডোনোভান তার হাতের উপর নেমে আসলো।

অটাম পাওয়ার বন্ধ করে দিলো।

"সে অনেক কিউট।” রেচেল ছোট্ট প্রাণীটির দিকে তাকিয়ে রইলো। "তাকে কিভাবে ধরেছ?”

সবাই হাসলো।

"রিগার এটা বানিয়েছে," ক্যাটরিনা বললো।

রেচেল অবাক চোখে রিগারের দিকে তাকালো। "সত্যিই?”

"মিস অটাম এবং পাগ অনেক সাহায্য করেছে।" রিগার বললো।

রেচেল ফড়িংটিকে একটু ফু দিলো। "ইস আমি যদি তাকে উড়াতে পারতাম।"

অটাম রিগারের দিকে তাকালো। সে কাঁধ ঝাকালো।

"আমার মনে হয় তোমাকে যাদুকরী ছড়াটি বলতে হবে," পাগ নিচে নেমে আসতে আসতে বললো।

"কি যাদুকরী ছড়া?” রেচেল জিজ্ঞাসা করলো।

পাগ নিচু হয়ে রেচেলের কানে কানে কিছু বললো।

"হাহ?”

সে আবারও কানে কেন বললো।

রেচেল হাসলো। "ঠিক আছে, আমরা দেখি।” সে তার হাত একটু উঁচু করলো এবং বললো, "ইচিং বিচিং ছিচিং ছা। ফড়িং তুই উড়ে যা।"

অটাম আবার কোড দিলো এবং সেটি রেচেলের হাতে পাখা নাড়াতে লাগলো। সে উপরে উঠলো এবং সিলিংয়ের কাছে চক্রাকারে ঘুরতে লাগলো।